বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন ইতিহাস লিখলো নারী ফুটবল দল। স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলের শিরোপা জিতে নিয়েছে দেশের নারী ফুটবল দল। (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে নেপালকে ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত করে বাংলাদেশ।
এর আগে পাঁচ আসরের সব কটিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। তবে এবারের আসরের সেমি থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে ভারতকে। ফলে আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো নতুন চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে সাফ। আর সেই শিরোপাটি নিজের করে নিলো সাবিনা-কৃষ্ণারা।
বৃষ্টির বাধাকে সঙ্গী করে ম্যাচে উইনিং কম্বিনেশন নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ এবং নেপাল। সেমির একাদশ নিয়েই মাঠে নামে দল দুটি। তবে যথারীতি পুরো সুস্থ হয়ে উঠতে না পারায় প্রথম ১০ মিনিট খেলেই মাঠ ছাড়তে হয় সিরাত জাহান স্বপ্নাকে।
তবে বাংলাদেশ দলের মুখে হাসি ফোটাতে খুব বেশি সময় নেননি স্বপ্নার পরিবর্তে মাঠে নামা শামসুন্নাহার জুনিয়র। মাঠে নামার চার মিনিট পরেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। খেলার ১৪ মিনিটের সময় ডান প্রান্ত থেকে মনিকা চাকমা ক্রস জালে পাঠান শামসুন্নাহার।
এক গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ আরো উজ্জীবিত হয়ে উঠে। ২৭তম মিনিটে আবারো দারুণ একটি আক্রমণ রচনা করে বাংলাদেশ। স্বাগতিক সমর্থকদের চিৎকারকে উপেক্ষা করে সামসুন্নাহার ডি বক্সে ঢুকে শট নেয়ার মুহূর্তে নেপালের ডিফেন্ডার সে যাত্রায় বাঁচিয়ে দেন দলকে।
এর কিছু পরে পাল্টা আক্রমণে যায় নেপাল। ৩৫তম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে অনিতা বাসেনেটের জেড়ালো শটের বল রক্ষণ দেয়াল পেরিয়ে জালে প্রবেশের মুহূর্তে দক্ষতার সঙ্গে কর্নারের বিনিময়ে বল ফিস্ট করেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক রূপনা।
খেলার ৪৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। সাবিনার কাছ থেকে ডি বক্সের সামনে থেকে বল পেয়ে সেটিকে এগিয়ে দেন মারিয়া মান্ডা। দ্রুততার সঙ্গে সেটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন কৃষ্ণা রানী সরকার।
বিরতি থেকে ফিরেই বাংলাদেশের ওপর চড়াও হয় নেপাল। ফলও পায় স্বাগতিকেরা। খেলার ৭০ মিনিটের সময় অনিতা বাসনেট গোল করে ব্যবধান কমিয়ে আনেন (২-১)। উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে উঠে মাঠ ভর্তি আনুমানিক ২০ হাজার দর্শক।
তবে তাদের থামাতে বেশি সময় নেয়নি বাংলাদেশ। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে আবারো গোল করে বাংলাদেশকে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন কৃষ্ণা। নিমিষেই স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা স্টেডিয়াম। শেষ পর্যন্ত ওই ব্যবধান নিয়েই মাঠ ছাড়ে গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা।