জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৬:০৫ এএম

জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে সশরীরে যোগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে অধিবেশনের উচ্চপর্যায়ের সাধারণ আলোচনায় বরাবরের মতো এবারও বাংলা ভাষায় ১৯ তম ভাষণ দেবেন তিনি।

ভাষণে বঙ্গবন্ধুকন্যা বিশ্ব নেতাদের যুদ্ধ বন্ধ করে আলোচনা ও শান্তির বার্তা, যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি সংকট, রোহিঙ্গা ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে গুরত্ব দেবেন।

১৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ১৫ দিনের সফরে লন্ডন হয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সদ্য প্রয়াত ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওয়ানা করার কথা রয়েছে তার। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি সাধারণ পরিষদে বরাবরের মতো বাংলা ভাষায় ভাষণ দেবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রণালয়ের এক কর্তকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রীর ১৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্য যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে তিনি আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করে তারপর নিউইয়র্ক যাবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। বরাবরের মতো এবারও তিনি বাংলা ভাষায় ভাষণ দেবেন। জাতিসংঘের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তিনি ওয়াশিংটন যাবেন, সেখানেও তার কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে।

নিউইয়র্কে ১৫ দিনব্যাপী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭ তম অধিবেশনে শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর)। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর শুরু হবে অধিবেশনের উচ্চপর্যায়ের সাধারণ আলোচনা। এতে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা অংশ নেবেন। অধিবেশন শেষ হবে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর।

শেখ হাসিনার ভাষণে কোন বিষয়গুলো গুরত্ব পাবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্ব কমবেশি বিভিন্ন ধরনের সংকট মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশ বরাবরই জাতিসংঘে শান্তির কথা বলে এসেছে। এবার বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী হয়তো যুদ্ধ না করে যে কোনো সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের বার্তা দেবেন। যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো যারা উন্নয়শীল দেশ থেকে উন্নত দেশের কাতারে যাওয়ার চেষ্টা করছে তারা যুদ্ধের কারণে কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, বিশেষ অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় সেসব বিষয় তুলে ধরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

এ কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা সমস্যার কথা উঠে আসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। জলবায়ু সংকট মোকাবেলা, খাদ্য নিরাপত্তা বা জ্বালানির মতো ইস্যুগুলোও উঠে আসতে পারে বক্তব্যে। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশের আয়োজনে একটি সাইড ইভেন্টে যোগ দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। সেখানে রোহিঙ্গা সংকট এবং প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়া এবং বর্তমানে মিয়ানমার সৃষ্ট কারণে সীমান্তে উদ্বেগ তুলে ধরবে বাংলাদেশ।

খাদ্য, জ্বালানি এবং অর্থায়ন বিষয়ে ‘চ্যাম্পিয়নস গ্রুপ অব গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স’ প্ল্যাটফর্মের সদস্যদের নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেসের সভাপতিত্বে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। প্ল্যাটফর্মটির গুরত্বপূর্ণ সসদ্য হিসেবে বৈঠকে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।