logo

মাহমুদউল্লাহকে বাদ দেয়াটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল : শ্রীধরন শ্রীরাম


নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত:  ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৬:১২ এএম

মাহমুদউল্লাহকে বাদ দেয়াটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল : শ্রীধরন শ্রীরাম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ধারণা করা হয়, দল থেকে বাদ পড়ে হয়তো অবসরের পথে হাঁটবেন বাংলাদেশ দলের এ সাইলেন্ট কিলার। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আলোচনা করে তাকে ত্রিদেশীয় সিরিজে মাঠ থেকে অবসরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কিন্তু রিয়াদ আরও দুই বছর দলে খেলতে চান বলে বোর্ডের এ আমন্ত্রণে রাজি হননি।

টি-টোয়েন্টিতে নতুন ক্রিকেটের সূচনা করতে চায় বাংলাদেশ। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে টাইগারদের ধারাবাহিক ব্যর্থতার লাগাম টানতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরামকে। বিশ্বকাপের দল তৈরিতে তিনি ছিলেন নেপথ্যে। নির্বাচকদের সঙ্গে আলোচনা করে মাহমুদউল্লাহকে শ্রীধরন বাদ দিয়েছেন।

ভবিষ্যত পরিকল্পনায় এবং পারফরম্যান্সের তুলনায় ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটকে গুরুত্ব দিতে বাদ দেয়া হয়েছে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে। তার জায়গায় টাইগারদের জন্য এ সংস্করণে সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার হিসেবে ইয়াসির রাব্বিকে দলে ডাকা হয়েছে ।

(১৪ সেপ্টেম্বর) দল ঘোষণাকালে শ্রীরাম জানান, ‘আমার মনে হয় রাব্বি খুব সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে যে পাওয়ার হিটারের ঘাটতি ছিল সেটা পূরণ করার সামর্থ্য তার আছে । সে এমন একজন যে বল সীমানা ছাড়া করতে পারে, বাউন্ডারি হাঁকাতে পারে।’

রিয়াদকে বাদ দেয়াটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল বলে জানান শ্রীধরন। তিনি জানান, ‘মাহমুদউল্লাহকে বাদ দেয়ার আলাপটা সহজ ছিল না। সে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি খেলেছে। ওর জন্য আমার সর্বোচ্চ সম্মান রইল। ওর বিষয়ে আলাপের সময় আমাকে খারাপ মানুষ হতে হয়েছে।'

এশিয়া কাপে ব্যর্থ মিশন শেষে সমালোচনার মুখে অবসরের সিদ্ধান্ত নেন মুশফিক। সমালোচনা চলছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়েও। ধারণা করা হয়, বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পেলে তিনিও অবসরের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

মুশফিকের আগে টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নেন।  দুজনেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেয়ায় কিছুটা আক্ষেপ প্রকাশ করে বোর্ড। বিসিবি চায় দেশের ক্রিকেটের এ তারকা ক্রিকেটাররা যেন মাঠ থেকে সম্মানের সঙ্গেই অবসর নেন। মিরপুরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসার পাপন জানান, ‘আমরা যদি মাহমুদউল্লাহকে দলে জায়গা না দিতে পারি, ওকে যদি অবসর নিতেই হয়, তাহলে তাকে ন্যূনতম সম্মানটা তো দেয়া উচিত। মাঠ থেকে অবসরের সুযোগ দেয়া উচিত। কারণ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবদান খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বহু ম্যাচ জিতিয়েছে আমাদের।’

শেষ পর্যন্ত যখন দলে জায়গা হয়নি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের, তখন বিসিবি তার সঙ্গে অবসরের বিষয়ে আলোচনা করে। সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণা না দিয়ে যেন মাঠ থেকে অবসর নিতে পারেন, সেজন্য ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলার জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু রিয়াদ তাতে অস্বীকৃতি জানান। টাইগারদের সাবেক টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের বয়সটা ৩৬ হলেও তিনি এখনই দমে যেতে চান না। এ সংস্করণে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে দেশের হয়ে খেলতে চান আরও দুই বছর।