logo

এলপিজির দাম কমিশন ঠিক করলেও তোয়াক্কা করছে না কোম্পানিগুলো


নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত:  ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৭:৫৬ এএম

এলপিজির দাম কমিশন ঠিক করলেও তোয়াক্কা করছে না কোম্পানিগুলো

এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্ধারিত এলপি গ্যাসের দামকে বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা করছে না উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো। তাদের নির্ধারিত মূল্যেই এলপি সিলিন্ডার বিক্রি হয়।

অভিযোগ রয়েছে, এলপি গ্যাস আমদানিকারক ও উৎপাদকদের যখন সুবিধা হয়েছে মেনে নিয়েছে যখনই মুনাফা কমে গেছে তখনই নিজেদের ইচ্ছায় চলছে।

হাইকোর্টের নির্দেশে কমিশন গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে প্রতি মাসে গ্যাসের দাম ঠিক করে দিচ্ছে। কিন্তু সেই দাম মানছে না কোম্পানিগুলো। 

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, কমিশন খুচরা বাজারের জন্য যে দাম ঠিক করে, কোম্পানিগুলো পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে তার চেয়ে বেশি দামে গ্যাস বিক্রি করে। 

নিময় অনুযায়ী, এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসসহ সব ধরনের জ্বালানির দামই নির্ধারণ করার কথা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের।

কিন্তু কমিশনকে এলপিজির দাম ঠিক করার দায়িত্ব দিতে হাইকোর্টে যেতে হয়েছিল ভোক্তাদের সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকে (ক্যাব)। 

পরে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে গেলো বছরের এপ্রিল থেকে প্রতি মাসে এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণ করছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। 

কিন্তু কোম্পানিগুলো পাইকারি বিক্রেতাকেও গ্যাস দিচ্ছে কমিশন নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে। ফলে খুচরা বাজারে সিলিন্ডার প্রতি ১৬৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস।

কমিশনের ঠিক করা দামে কোম্পানিগুলো গ্যাস বিক্রির উদ্যোগ না নেয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানান, সংকট সমাধানে কাজ করছে বিইআরসি।

বিইআরসি সূত্র জানায়, ডলারের দর ছাড়াও জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদকরা পরিবহন খরচ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে।

ইতিমধ্যে ১১টি কোম্পানি গণশুনানির জন্য আবেদন দিয়েছে। তাদের প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। পরিবহন খরচ যে বেড়েছে তা প্রমাণের জন্য নথি চাওয়া হয়েছে। 

চলতি মাসে বিশ্ববাজারে এলপি গ্যাসের কাঁচামালের দাম কমলেও দেশে ডলারের দামের কারণে ১২ কেজির সিলিন্ডারে ১৬ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ২৩৫ টাকা দাম ঠিক করেছিল কমিশন। যা এক হাজার চারশো' টাকায় বাজারে বিক্রি হচ্ছে ।