মাইগ্রেনের ব্যথা প্রচণ্ড কষ্টদায়ক, এক্ষেত্রে মাথার অর্ধেক অংশে প্রায়ই তীব্র ব্যথা হয়। মাইগ্রেনের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে বমি বমি ভাব, বমি, আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা। মাইগ্রেনের ব্যথা কয়েক দিনও স্থায়ী হতে পারে।
মাইগ্রেনের ব্যথা হওয়ার কারণ কী? এনএইচএসের মতে, মাইগ্রেনের ব্যথা কেন হয় তার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেন, এটি মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক কার্যকলাপের ফলাফল। যা সাময়িকভাবে মস্তিষ্কের স্নায়ু সংকেত, রাসায়নিক পদার্থ ও রক্তনালিকে প্রভাবিত করে।
ব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পেতে বাজারে অনেক ওষুধ পাওয়া যায়। বেশিরভাগ মানুষই পেইকিলার খেয়ে এই ব্যথা সারান, তবে দীর্ঘদিন এ ধরনের ওষুধ খেলে শারীরিক বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে। তাই মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে ঘরোয়া উপায়ে ভরসা রাখাই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দীক্ষা ভাবসার জানান, মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধের পরিবর্তে এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলআ ব্যবহার করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য আরও উপকারী হতে পারে-
কিশমিশ ভেজানো পানি
সারারাত এক গ্রঅস পানিতে কয়েকটি কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। সকালে কিশমিশ ছেঁকে ওই পানি পান করুন। এটি মাইগ্রেনের মাথাব্যথা উপশমে বিস্ময়কর কাজ করে।
টানা ১২ সপ্তাহ ধরে এই বিশেষ পানীয় সেবনে শরীরের অতিরিক্ত পিত্ত কমাতে কাজ করে। ফলে মাইগ্রেনের সঙ্গে বিভিন্ন উপসর্গ যেমন- অ্যাসিডিটি, বমি বমি ভাব, জ্বালাপোড়া, মাথাব্যথা, গরম লাগা ইত্যাদি সমস্যার সমাধান করে।
জিরা-এলাচ চা
জিরা ও এলাচ কিছুক্ষণ পানিতে ফুটিয়ে নিন। তারপর ছেঁকে পান করুন। এই চা দুপুর বা রাতের খাবারের এক ঘণ্টা পরে বা মাইগ্রেনের লক্ষণ দেখা দিলেই পান করতে পারেন। এটি বমি বমি ভাব ও মানসিক চাপ দূর করতে কাজ করে।
ঘি খান
ঘি মাইগ্রেনের ওষুধের মতো কাজ করে। এর পাশাপাশি শরীর ও মনের বাড়তি পিত্তের ভারসাম্য বজায় রাখতে কাজ করে ঘি।
বিভিন্ন উপায়ে ঘি আপনি খেতে পারেন। চাইলে রাতে শোয়ার সময় দুধের সঙ্গে মিশিয়েও পান করতে পারেন। আবার মাইগ্রেনের ব্যথা উঠলেও এক বা দুই চা চামচ ঘি খেয়ে নিতে পারেন। এতে মিলবে উপকার।
মাইগ্রেনের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনধারাও অপরিহার্য বলে জানান আয়ুর্বেদ চিকিৎসক দীক্ষা ভাবসার। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চা আপনাকে মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে!