অনেক সময় ভুলে ডালের পাত্রে হাত ধুয়ে ফেলেন চবি শিক্ষার্থীরা তথ্যসূত্র লাগবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৮:৪৫ এএম

অনেক সময় ভুলে ডালের পাত্রে হাত ধুয়ে ফেলেন চবি শিক্ষার্থীরা তথ্যসূত্র লাগবে

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব পড়েছে শিক্ষাঙ্গনেও। সম্প্রতি নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ডাইনিং ও ক্যান্টিনের খাবারের দামে প্রভাব পড়েছে। খাবারের দাম গড়ে ২৫ শতাংশ বাড়ানো হলেও বাড়েনি খাবারের মান।

শিক্ষার্থীরা অনেকটা বাধ্য হয়েই বছরের পর বছর বৈচিত্র্যহীন খাবার খাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবার খেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়লেও কারো দেখার কিছুই নেই।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের ক্যাফেটেরিয়া এখন পুরোটাই ফাঁকা। কারণ, হলের খাবারের মানে বিরক্ত শিক্ষার্থীরা। গেলো সপ্তাহে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্নার অভিযোগে শিক্ষার্থীরা এই ক্যাফেটেরিয়াতেই ঝুলিয়েছিলো তালা। 

সোহরাওয়ার্দী হলের এক শিক্ষার্থী জানান, একটা বয়লার মুরগি দিয়ে ২০ জনকে খাওয়ানো হয়। আমরা বাধ্য হয়ে খাই এই খাবার। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তুকি না দিলে মান কখনোই বাড়বে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য হলগুলোর ডাইনিংয়ের চিত্র প্রায় একই রকম। মোটা চালের ভাত, নাম মাত্র মাংসের ছোট টুকরো, পাতলা ডাল কিংবা স্বাদহীন সবজি- এমনটাই চলছে বছরের পর বছর। 

এক শিক্ষার্থী বলেন, হলের ডাইনিংয়ের খাবার মোটেও রুচিসম্মত নয়। হলের ডালের যে অবস্থা যেনো হলুদ গোলা পানি। মানুষ অনেক সময় ভুলে ডালের পাত্রে হাত ধুয়ে ফেলে। তরকারিতে মাছের সাইজ একটা আঙুলের সাইজ থেকে ছোট।

হলগুলোর ডাইনিং ও ক্যান্টিনে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না হচ্ছে খাবার। বাধ্য হয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে বেশি টাকা দিয়ে বাইরের হোটেলগুলোতে খেতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের খাবারের জন্য সরাসরি ভর্তুকি দেয় না। তবে গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ বিলের পাশাপাশি কর্মচারীদের বেতন দেয় প্রশাসন। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১১টি হলে শিক্ষার্থী থাকেন প্রায় ৯ হাজার। এরমধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থীই হলের খাবারের ওপর নির্ভরশীল।